বাগেরহাট জেলার ষাটগম্বুজ মসজিদের সাথেই বাগেরহাট জাদুঘর অবস্থিত। এটি মূলত পঞ্চদশ শতকে গড়ে ওঠা খলিফাতাবাদ শহরের প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও উপস্থাপনের লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে ৫২০ বর্গমিটার এলাকা নিয়ে নির্মিত হয়। জাদুঘরটি ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উন্মুক্ত করা হয়।যাদুঘর এবং এর আশেপাশের পরিবেশ অত্যন্ত পরিপাটি ও পরিচ্ছন্নভাবে নির্মিত। এটি পরিদর্শনকালে বাগেরহাটের প্রাচীন ইতিহাসের সাথে পরিচিত হতে পারবেন। রয়েছে পোড়ামাটির তৈরি আরবী উৎকীর্ণ লিপি (Terracotta of Arabic Encryption), কাঠের বর্গা (wooden balk), পোড়ামাটির শিকল (Terracotta Chain), বিভিন্ন ধরনের পাথর, পাত্র ইত্যাদি যার সবই প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে। এতে আরও রয়েছে ঐতিহাসিক ও শতবর্ষী দুই কুমির কালাপাহাড় ও ধলাপাহাড়ের সংরক্ষিত চামড়া, যা তাদের আদলে বানিয়ে রাখা হয়েছে প্রদর্শনের জন্য।
প্রবেশ মূল্যঃ
ষাটগম্বুজ মসজিদ ও জাদুঘর পরিদর্শনের জন্য প্রবেশমূল্য দেশী পর্যটকদের জন্য ১০ টাকা এবং বিদেশী পর্যটকদের জন্য ১০০ টাকা।
ভ্রমণ সময়সূচী ও সাপ্তাহিক বন্ধঃ
(এপ্রিল–সেপ্টেম্বর)
মঙ্গলবার থেকে শনিবার– সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১ টা এবং দুপুর ১:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬ টা
শুক্রবার- সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২:৩০ টা এবং দুপুর ২:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৬ টা
রবিবার- সাপ্তাহিক বন্ধের দিন
সোমবার- দুপুর ১:৩০ থেকে বিকাল ৫ টা
(অক্টোবর–মার্চ)
মঙ্গলবার থেকে শনিবার– সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১ টা এবং দুপুর ১:৩০ থেকে বিকাল ৫ টা
শুক্রবার- সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২:৩০ টা এবং দুপুর ২:০০ থেকে বিকাল ৫ টা
রবিবার- সাপ্তাহিক বন্ধের দিন
সোমবার- দুপুর ১:৩০ থেকে বিকাল ৫ টা
(সরকারী ছুটির দিনে বন্ধ থাকে।)
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে বাগেরহাটগামী বাসে করে বাগেরহাটে আসতে হবে। বাগেরহাটে নেমে রিক্সা বা অটোতে চড়ে ষাটগম্বুজ মসজিদে আসতে হবে। মসজিদের সাথেই বাগেরহাট জাদুঘর।
ঢাকার সায়দাবাদ থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত বেশ কিছু বাস ছেড়ে যায়। এর মধ্যে ফাল্গুনী, আরা, বলেশ্বর, হামিম ও দোলা পরিবহন উল্লেখযোগ্য। এছাড়া গাবতলী থেকে সোহাগ, শাকুরা, হানিফ ও ইগল পরিবহন ছেড়ে যায়।
ট্রেনে করেও বাগেরহাট যেতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে আন্তঃনগর ট্রেন সুন্দরবন এক্সপ্রেসে খুলনা যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে বাসে বাগেরহাট।
কোথায় থাকবেনঃ
বাগেরহাট সদরে বিভিন্ন হোটেল আছে । এছাড়াও সরকারি গেস্টহাউস আছে। খান জাহান আলীর মাজারের সামনে মেইন হাইওয়েতে থাকতে পারবেন হোটেল অভিতে।এছাড়া বাগেরহাটে থাকার জন্যে হোটেলের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাস স্টেশন সংলগ্ন হোটেল আল আমিন এবং কর্মকার পট্টিতে হোটেল মোহনা। খুলনা থেকে বাগেরহাটে আসতে সময় ১ ঘণ্টা লাগার কারনে খুলনাতেও থাকা যায়।
বাগেরহাটের কয়েকটি হোটেলের নাম, ঠিকানা ও যোগাযোগের নাম্বারঃ
হোটেল আল-আমিন
কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ড, বাগেরহাট
ফোনঃ ০১৭৩৫ ৫৮২৮৫৬
হোটেল ধানসিঁড়ি
দশ আনি মোড়, বাগেরহাট
ফোনঃ ০১৭৬৮ ৪৪২৩৭৬
সচেতনতাঃ ভ্রমণের সময় ভ্রমণস্থানের পরিবেশ যাতে নোংরা না হয়, সেদিকে অবশ্যই নজর রাখুন। যেকোন খাবারের প্যাকেট, পানির বোতল ইত্যাদি যেখানে-সেখানে না ফেলে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। সেরকম কোন জায়গা তাৎক্ষনিক খুঁজে না পেলে সেগুলো নিজের সাথেই রাখুন। পরে সুযোগ-সুবিধামতো ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দিবেন।