ঐতিহাসিক অযোধ্যা /কোদলা মঠ বাগেরহাট জেলার পুরাতন বাগেরহাট-রূপসা সড়কে অবস্থিত যাত্রাপুর বাজার হতে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে বারুইপাড়া উপজেলার অযোদ্ধা মাঠ সড়কের কাছে কোদলা অবস্থিত।
অযোধ্যা বা কোদলা মঠের বিশেষ আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে এর বাইরের অপূর্ব কারুকাজ সমৃদ্ধ অলঙ্করণ। বর্গাকার ভূমি পরিকল্পনায় চতুষ্কোণ বিশিষ্ট ভিতের উপর নির্মিত হয়েছে অনিন্দ্যসুন্দর এ মঠটি। দেয়ালের পালিশ করা লাল ইটগুলি অতি উচ্চমানের। এটি একটি প্রাচীন হিন্দু মন্দির।
উড়িষ্যা অঞ্চলে খ্রীষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দী পর্যমত্ম যে স্টাইলে মন্দির নির্মাণ পদ্ধতি ছিল, তার প্রভাব এ মঠে আছে বলে ধারণা করা হয়।
পিরামিডের অনুরূপ উঁচু স্থাপত্যিক গঠনই একে শিখর স্টাইলের সঙ্গে অঙ্গীভূত করেছে। এটি আনুমানিক সপ্তদশ শতাব্দীতে তৈরি করা হয়েছিলো বলে ধারণা করা হয়। তবে কার দ্বারা এ মঠ নির্মিত হয়েছিল তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে মঠের গায়ে খুদিত রয়েছেঃ …………..শর্মনা।
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে বাগেরহাটগামী বাসে করে বাগেরহাটে আসতে হবে। তারপর বাগেরহাট শহর থেকে অটো রিকশায় অযোধ্যা বা কোদলা মঠ। যেতে সময় লাগে কম বেশি ৪০-৫০ মিনিট অথবা বাগেরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে অটো রিকশায় করে বাগেরহাটের যাত্রাপুরে এসে নামতে হবে। তারপর সেখান থেকে রিক্সায় বা অটোতে করে এই অযোধ্যা/কোদলা মঠে যাওয়া যায়।
ঢাকার সায়দাবাদ থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত বেশ কিছু বাস ছেড়ে যায়। এর মধ্যে ফাল্গুনী, আরা, বলেশ্বর, হামিম ও দোলা পরিবহন উল্লেখযোগ্য। এছাড়া গাবতলী থেকে সোহাগ, শাকুরা, হানিফ ও ইগল পরিবহন ছেড়ে যায়।
ট্রেনে করেও বাগেরহাট যেতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে আন্তঃনগর ট্রেন সুন্দরবন এক্সপ্রেসে খুলনা যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে বাসে বাগেরহাট।
কোথায় থাকবেনঃ
বাগেরহাট সদরে বিভিন্ন হোটেল আছে । এছাড়াও সরকারি গেস্টহাউস আছে। খান জাহান আলীর মাজারের সামনে মেইন হাইওয়েতে থাকতে পারবেন হোটেল অভিতে।এছাড়া বাগেরহাটে থাকার জন্যে হোটেলের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাস স্টেশন সংলগ্ন হোটেল আল আমিন এবং কর্মকার পট্টিতে হোটেল মোহনা। খুলনা থেকে বাগেরহাটে আসতে সময় ১ ঘণ্টা লাগার কারনে খুলনাতেও থাকা যায়।
বাগেরহাটের কয়েকটি হোটেলের নাম, ঠিকানা ও যোগাযোগের নাম্বারঃ
হোটেল আল-আমিন
কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ড, বাগেরহাট
ফোনঃ ০১৭৩৫ ৫৮২৮৫৬
হোটেল ধানসিঁড়ি
দশ আনি মোড়, বাগেরহাট
ফোনঃ ০১৭৬৮ ৪৪২৩৭৬
সচেতনতাঃ ভ্রমণের সময় ভ্রমণস্থানের পরিবেশ যাতে নোংরা না হয়, সেদিকে অবশ্যই নজর রাখুন। যেকোন খাবারের প্যাকেট, পানির বোতল ইত্যাদি যেখানে-সেখানে না ফেলে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। সেরকম কোন জায়গা তাৎক্ষনিক খুঁজে না পেলে সেগুলো নিজের সাথেই রাখুন। পরে সুযোগ-সুবিধামতো ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দিবেন।