একদিনে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান এবং ট্রি-এক্টিভিটি

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার রঘুনন্দন পাহাড়ে অবস্থিত। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক উদ্যান। এই উদ্যানে সাতটি পাহাড়ি ছড়া আছে, সেই থেকে এর নামকরণ সাতছড়ি । সাতছড়ির আগের নাম ছিলো “রঘুনন্দন হিল রিজার্ভ ফরেস্ট”।

ঢাকা থেকে সকালে রওনা দিয়ে খুব সহজেই দিনে দিনে ঘুরে আসতে পারেন এখান থেকে আর অর্জন করতে পারবেন চা বাগান, ট্রেইল আর ট্রি-এক্টিভিটির এক মিশেল অভিজ্ঞতা। সাতছড়ি থেকে শায়েস্তাগঞ্জ এর দিকে এগুতেই পাবেন বিশাল চা বাগান, রাস্তার পাশেই পাবেন কৃষ্ণচূড়া গাছ।




প্রবেশ খরচঃ জাতীয় উদ্যানে প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ টাকা। এছাড়া বিদেশী ব্যক্তিদের জনপ্রতি প্রবেশ মূল্য ৫ ডলারের সমপরিমান অর্থ। গাড়ির পার্কিং খরচ ২৫ টাকা।

সাতছড়িতে পাবেন আধা, এক এবং তিন ঘন্টার তিনটি ট্রেইল। যেকোন একটিতে যেতে পারেন। সাথে গাইড নিয়ে নিতে পারেন চাইলে। গাইড খরচ ২৫০।

আধা ঘন্টার ট্রেইল: ১ কি.মি দৈর্ঘ্যের এই ট্রেইল ধরে বনের মধ্যে অবস্হিত একমাত্র গ্রাম টিপরা পাড়াতে যাওয়া যায়।
এক ঘন্টার ট্রেইল: বৈচিত্রময় বনের বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী/উদ্ভিদ দেখতে চাইলে এই ট্রেইল ধরে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
তিন ঘন্টার ট্রেইল: ৬ কি.মি দৈর্ঘ্যের এই ট্রেইল ধরে এগুলে পেয়ে যাবেন আগরের বন। পাখি প্রেমীদের জন্য এই ট্রেইল আদর্শ।

ট্রি-এক্টিভিটির খরচ জনপ্রতি খরচ ১১৫ টাকা। আর এটা করতে চাইলে কেডস টাইপ জুতা পায়ে থাকলে ভাল। ট্রি-এক্টিভিটি বেশ রোমাঞ্চকর একটা অভিজ্ঞতা। এটা করার সময় নিরাপত্তার জন্য বেল্ট, হেলমেট এবং ক্লিপ দ্বারা যুক্ত থাকে শরীর।

কিভাবে যাবেনঃ
ট্রেনঃ ঢাকা থেকে সকাল ৬:৩৫ মিনিটে সিলেটগামী ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেস এ করে নোয়াপাড়া নামবেন। ট্রেনের টিকেট শ্রেনীভেদে ১০০ থেক ৬৭৩ টাকা। সেখান থেকে রিজার্ভ সিএনজি সাতছড়ি ১২০-১৫০ টাকা।

বাসঃ ঢাকার সায়েদাবাদ হতে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে কয়েকটি বাস হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এসি বাসের টিকেট ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। যেতে সময় লাগে সাড়ে তিন ঘন্টার মতো। হবিগঞ্জ থেকে যেতে হবে চুনারুঘাট।

খরচাপাতিঃ
ট্রেন ভাড়া ৫০০ টাকা (যাওয়া-আসা)
সিএনজি জনপ্রতি ৮০ টাকা (যাওয়া-আসা)
সাতছড়ি উদ্দ্যান প্রবেশ জনপ্রতি ২০টাকা
টিএক্টিভিটি জনপ্রতি ১১৫ টাকা

এই হিসাবে একেকজনের ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।

সচেতনতাঃ ভ্রমণের সময় ভ্রমণস্থানের পরিবেশ যাতে নোংরা না হয়, সেদিকে অবশ্যই নজর রাখুন। যেকোন খাবারের প্যাকেট, পানির বোতল ইত্যাদি যেখানে-সেখানে না ফেলে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। সেরকম কোন জায়গা তাৎক্ষনিক খুঁজে না পেলে সেগুলো নিজের সাথেই রাখুন। পরে সুযোগ-সুবিধামতো ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দিবেন।

satchari-national-park-habiganj

satchari-national-park

tree activity at satchari national park.