সীতাকুন্ডে দুইদিনে যেসব জায়গা ঘুরে দেখবেন

ব্যস্ত কর্মজীবনে সপ্তাহে যে দুইদিন সাপ্তাহিক বন্ধ পাওয়া যায়, সেই দুইদিনেই ঘুরে আসতে পারেন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। পাহাড়, সমুদ্র আর ঝর্ণার এক অসাধারণ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা যোগ হবে আপনার ভ্রমণ ঝুলিতে।

প্রথম দিনঃ
রাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রেন অথবা বাসে করে ঢাকা থেকে রওনা দিন। নেমে যেতে হবে সীতাকুণ্ড। সীতাকুণ্ড বাজারে সকালের নাস্তা সেরে থাকার হোটেল ঠিক করে ফেলুন। তারপর সেখান থেকে যাবেন চন্দ্রনাথ পাহাড়। চন্দ্রনাথ মন্দির এ উঠতে সময় লাগবে ১:৩০-২ ঘন্টা। বেশ চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা হবে আপনার। নেমে এসে সেখান থেকে অলংকারগামী বাসে করে সীতাকুন্ড ইকোপার্ক গেটে চলে আসুন। ইকোপার্ক গেট থেকে হেটে অথবা সিএনজিতে করে সুপ্তধারা এবং সহস্রধারা ঝর্না ঘুরে আসুন।

তবে চন্দ্রনাথ মন্দির থেকে ঘুরে আসার কারণে ক্লান্ত থাকবেন। তাই সিএনজি নেয়াই ভাল। সাঁতার জানা থাকলে আর সময় পেলে ঝর্ণায় খানিকটা সময় ঝাঁপাঝাঁপি করে নিতে পারেন। এর জন্য সাথে অতিরিক্ত এক সেট জামা-কাপড় রাখতে পারেন। বিকালে সময় পেলে সীতাকুণ্ড বাজার থেকে সিএনজি করে ঘুরে আসুন কুমিরাঘাট।



দ্বিতীয় দিন:
সকালে হোটেল ছেড়ে দিন। জোয়ার আসার আগেই চলে যাবেন বাশবাড়িয়া এবং গুলিয়াখালি সি-বিচ। সীতাকুণ্ড বাজার থেকে সিএনজি করে প্রথমে গুলিয়াখালি এবং সেখান থেকে পরে বাশবাড়িয়া সি-বিচে চলে যান। দুটি ভিন্ন রকমের সমুদ্র সৈকত দেখার অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে। ওখান থেকে বাসে করে বরতাকিয়া বাজার এর একটু সামনে খৈয়াছড়া ঝর্না রোড। হেটে অথবা সিএনজি করে চলে আসবেন খৈয়াছড়া ট্রেকিং যেখানে শুরু হয় সেখানে। এর পর হাটা শুরু। ১ ঘন্টা বার তার চেয়ে কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে খৈয়াছড়া ঝর্নায় পৌঁছাতে। ট্রেকিং শুরু করার আগে অবশ্যই বাঁশের লাঠি নিয়ে নিবেন, যেটা আপনাকে ট্রেকিং করতে সহায়তা করবে। সাথে অবশ্যই কিছু শুকনা খাবার আর পানি রাখবেন। দুপুরের খাবার যদি সেখানেই খেতে চান, তাহলে ট্রেকিং শুরু করবেন যেখানে, সেখানেই বেশ কিছু হোটেল আছে। ফিরে এসে খাবার খেয়ে নিতে পারবেন। ওখান থেকে ঢাকাগামী অনেক বাস রয়েছে।
দুইদিনের এই ভ্রমনে আপনার খরচ হবে প্রায় ২০০০-২৫০০ টাকা।

আরও পড়ুনঃ গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত, সীতাকুণ্ড-চট্টগ্রাম

সচেতনতাঃ ভ্রমণের সময় ভ্রমণস্থানের পরিবেশ যাতে নোংরা না হয়, সেদিকে অবশ্যই নজর রাখুন। যেকোন খাবারের প্যাকেট, পানির বোতল ইত্যাদি যেখানে-সেখানে না ফেলে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। সেরকম কোন জায়গা তাৎক্ষনিক খুঁজে না পেলে সেগুলো নিজের সাথেই রাখুন। পরে সুযোগ-সুবিধামতো ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দিবেন।